টানা বৃষ্টির জেরে ফের প্রকৃতির রোষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষিজীবীরা। কোতুলপুর ব্লকের মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধুবন এলাকায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বিঘা ধানচাষের জমি বর্তমানে জলের তলায়। কৃষকদের অভিযোগ, এই জমিগুলোর উপর দিয়ে এখন বইছে খালের মতো জলের স্রোত। ফলে জমি এখন আর চাষযোগ্য নয়, এমনকি হাঁটাচলাও সম্ভব নয়। স্থানীয় কৃষকদের দাবি, আগে যে খালটি অন্যপথে বইতো এখন তা দিক পরিবর্তন করে ধানচাষের জমির উপর দিয়েই বয়ে চলেছে। তারা জানান, অতিরিক্ত জলের তোড়ে জমির উপর দিয়ে নতুন একটি অঘোষিত খাল তৈরি হয়েছে। ফলে শুধুমাত্র ফসল নয়, জমির উপর থাকা যাতায়াতের পথও অপ্রবেশযোগ্য হয়ে পড়েছে। কৃষকদের বক্তব্য, “আমরা ঋণ নিয়ে ধান চাষ করেছি। কেউ সোনার গয়না বন্ধক রেখেছে, কেউ বা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছে। এখন এই জমিগুলো জলের তলায় চলে যাওয়ায় আমরা চরম সংকটে পড়েছি। সরকার বা প্রশাসন যদি এ বিষয়ে তৎপর না হয়, তাহলে আমাদের মরন ছাড়া আর কোনো রাস্তা থাকবে না। এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের তরফে সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ এবং দ্রুত পদক্ষেপের দাবি উঠেছে। যদিও এ বিষয়ে মদনমোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, “ঘটনাস্থলে আমরা পরিদর্শন করেছি এবং বিষয়টি পঞ্চায়েত সমিতি সহ রাজ্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকদের জন্য কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে যেন ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা হয়। এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব। তিনি আরও জানান, জলস্রোতের ফলে জমি খালের মতো রূপ নিয়েছে, যা সত্যিই উদ্বেগজনক। “যত রকম সরকারি পরিকল্পনা রয়েছে, তার মাধ্যমে কৃষকদের পাশে থাকার চেষ্টা করছি,”বলেন পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এখন দেখার, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সমস্যার কোনও বাস্তব সমাধান হয় কিনা।