সাগরদিঘিতে পালাবদল। উপ-নির্বাচনে তৃণমূলকে হেলায় উড়িয়ে বিপুল জয় কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসের। কংগ্রেস উপ-নির্বাচনের সাফল্য ঝুলিতে ভরে রাজ্য বিধানসভায় প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে।
রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহার আকস্মিক প্রয়াণের জেরে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচন হয়। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আত্মীয় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল বায়রন বিশ্বাসকে। জোট-রাজনীতির তত্ত্ব মেনে সাগরদিঘিতে এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল বামেরা। অন্যদিকে, বিজেপি এই কেন্দ্রে দিলীপ সাহাকে প্রার্থী করেছিল।
বৃহস্পতিবার ভোট গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস। প্রতিটি রাউন্ডেই এগিয়ে ছিলেন তিনি। প্রথম কয়েকটি রাউন্ডের ট্রেন্ড দেখেই আত্মবিশ্বাস কংগ্রেস প্রার্থী জানিয়ে দেন, তাঁর জয় নিশ্চিত। পরে সময় যত এগিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীর দিকেই সমর্থনের স্রোত লক্ষ্য করা গিয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের হাত থেকে সাগরদিঘি কেন্দ্রটি শেষমেশ ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট। এদিকে দলের এই সাফল্যের দিনে এদিন সাগরদিঘিতে ছুটে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ এদিন উচ্ছ্বসিত দলের এই সাফল্যে। সাগরদীঘি উপনির্বাচনে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে জয়ী বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস।
এদিন অধীর চৌধুরী বলেন, “মমতা অপরাজিত নন, তাঁকেও পরাজিত করা যেতে পারে, প্রমাণ করল সাগরদিঘি”। তিনি আরো বলেন, “বাংলায় চোরতন্ত্র উচ্ছেদ করে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।’ বামেদের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা বলেন, ”জোটই শেষ কথা। আমরা বামেদের সঙ্গে জোট থেকে সরে যাইনি। সিপিআইএমের মাঝে অন্য কিছু মনে হয়েছিল। তবে ফের ওরা জোটে ফিরেছে। এ জন্য বিমান বসু, মহঃ সেলিমকে ধন্যবাদ।’
সাগরদিঘির এই সাফল্য রাজ্যকে পথ দেখাবে বলে মনে করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রায় ২৩ হাজার ভোটে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী। সাগরদিঘিতে তিন নম্বর স্থানে রয়েছে বিজেপি।