না ফেরার দেশে গেলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল
দুর্গাপুর, ২৮ মার্চ: সদা হাস্য, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বর্ণময় এক চরিত্র। রাজ্যের প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত অনুগামী হিসাবে পরিচিত ছিলেন শিল্প শহরের মানুষদের কাছে। দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মৃগেন্দ্রনাথ পাল না ফেরার দেশে চিরকালের জন্য পাড়ি দিলেন। দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পাঁচ ছদিন আগে শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মৃগেন্দ্রনাথ বাবু। দুর্গাপুর নগর নিগমের আট নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলার ছিলেন তিনি। পরপর দুবার পুরপিতা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মৃগেন্দ্রনাথ পাল। প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায় যখন কংগ্রেসে তখন থেকেই সুব্রত বাবুর অনুগামী হিসেবে মৃগেন্দ্রনাথ পালের পরিচিতি। দুর্গাপুরে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব মিশ্র ইস্পাত কারখানার কর্মী ছিলেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় যখন আইএনটিইউসির সর্বোচ্চ পদে অধীন ছিলেন তখন মৃগেন বাবু ASP কারখানায় শ্রমিক রাজনীতিতে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে ছিলেন। বাঁকুড়া জেলার সন্তান হলেও দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের হর্ষবর্ধন রোডে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আবাসনে তিনি দীর্ঘকাল বসবাস করেন তার পরিবার নিয়ে। সদাহাস্য মৃগেন্দ্রনাথ পাল স্পষ্টভাষী একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে মৃগেন্দ্রনাথ পালের মৃত্যুতে শোকাহত তৃণমূল কংগ্রেসের বৃহত্তর পরিবার। বেশ কয়েক বছর আগে হৃদরোগে একবার আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন থেকেই শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে দুরারোগ্য ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন মৃগেন্দ্রনাথ পাল। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি ভুগছিলেন। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। দুর্গাপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় মৃগেন্দ্রনাথ পালের বহু রাজনৈতিক শিষ্য রয়েছেন। তাদের রাজনৈতিক গুরুর এই মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবে তারা শোকাহত। বৃহস্পতিবার প্রথমে তার মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় দুর্গাপুর নগর নিগমে। সেখানে প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারপারসন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় সহ অন্যান্য কাউন্সিলর, দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা এবং বহু সাধারণ মানুষ শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর তার মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।