দলে ভাঙ্গন ধরেছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পেয়ে অবশেষে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েতের ধনশিমুল গ্রামের বাসিন্দা মামনি হাঁসদা ও খিলকানালী গ্রামের বাসিন্দা অজয় বাউরী। তারপরেই পঞ্চায়েতের বোড গঠনে উপ প্রধানের পদে মনোনীত হন মামনি হাঁসদা। পঞ্চায়েতের সদস্য পদ দখল করেন অজয় বাউড়ী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসে দলীয় নির্দেশ ছিল নির্দল থেকে জয়ী প্রার্থীদের আর দলে ফেরানো হবে না। অবশেষে বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল ভবনে নির্দল প্রার্থীদের দলে ফেরালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি এবং বাঁকুড়ার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। যোগদানকারীদের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন তিনি। তিনি বলেন ১০০ টি পরিবার নির্দল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করেছে। এই যোগদানের ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই সুবিধা পাবে বলে দাবি করেন বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী।
তবে যোগদানকারীরা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে দেখেই তারা তৃণমূলের যোগদান করেছেন। যোগদানকারী মানকানালী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মামনী হাঁসদা জানান দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় টিকিট না পাওয়ার কারণেই নির্দল হয়েছিলাম। আজ আবার পুনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান করলাম।