ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক হিংসা। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর লোকসভার কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্ধ মনি তলায় এলাকায় তৃণমূল সমর্থকেরা বিজেপি সমার্থক কে মারধর করে বলে অভিযোগ।অপরদিকে তৃণমূলের দাবি তাদের তিনজন অল্পবিস্তার আহত।
তবে বিজেপি এক সমর্থকের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। প্রথমে মথুরাপুর হাসপাতাল, তারপরে ডায়মন্ডহারবার, তারপরে সেখান থেকে অবস্থার অবনতি হলে পিজিতে স্থানান্তরিত করা হয়। বিজেপি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে এই বুথে গত পঞ্চায়েতে আহত নিমাই হালদারের নেতৃত্বে বিপুল ভোটে বিজেপি জয়লাভ করে তৃণমূলকে হারিয়ে। আর তারপর থেকে নিমাই হালদার হয়ে যায় তৃণমূলের টার্গেট। কত কয়েক দিন ধরে নিমাই হালদার কে দেখে কটুক্তি করতে শুরু করে তৃণমূলের সমর্থক মধু ঘোষ ও নন্দন ঘোষ । প্রতিবাদ করে নিমাই হালদার। এর ফলে অতর্কিতে বাজারে যাওয়ার সময় নিমাই হালদারের মাথায় কোদালের বাঁট দিয়ে আঘাত করে নন্দন নামে এক ব্যক্তি। মাটিতে লুকিয়ে পড়ার পর তাকেও আবার আঘাত করে।এমনকি বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রী এবং মেয়েকে মারধরতা হানি করে বলে অভিযোগ। আহত নিমাই হালদারের বাড়িতে যান বিজেপির মথুরাপুর লোকসভার প্রার্থী অশোক কুমার পুরকাই প্রার্থীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিমাই হালদারের বাড়ির লোকজন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল সমর্থকের বাড়ির লোকের দাবি দিনের পর দিন ওই বিজিবি সমর্থকরা তাদের প্রতি কটুক্তি করছিল প্রতিবাদ করার তাদের উপরে চড়াও হয় নিমাই হালদার, তবে নিমাই হালদার কে কোটালের বাঁট দিয়ে যে মারা হয়েছে সে কোথাও স্বীকার করেন তারা।
তৃণমূলের প্রার্থী বাপি হালদার জানিয়েছেন এসব মিথ্যা রটনা। নিজেদের মধ্যে কোন সাময়িক গন্ডগোল কে কেন্দ্র করে তৃণমূল কে দোষারোপ করছে। তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এগুলো ঠিক নয়। কুৎসা রটানোর কাজ হচ্ছে বিজেপির মানুষ মেনে নেবে না।