নির্বাচন পর্ব মিটে গিয়েছে। বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয় পেয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। আর এসবের মধ্যেই দুর্গাপুরে বড় অভিযোগ। পুড়িয়ে দেওয়া হল বিজেপির দলীয় কার্যালয়। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বিজেপি কার্যালয়ের টালির চাল। পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে দলীয় পতাকা। আর এই ঘটনায় অভিযোগের তীর শাসক দল তৃণমূলের দিকে। উল্লেখ্য, দুর্গাপুর পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত এবিএল মোড়ে যে বিজেপির কার্যালয়টি ছিল, সেটি কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। এখানে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার গন্ধ খুঁজে পাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। আর সমস্ত অভিযোগের তীর তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে দুর্গাপুর পৌর নিগমের প্রশাসক মন্ডলী সদস্য তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর দীপঙ্কর লাহা বলছেন, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। এমন ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। কারণ মানুষের কাছেই বিজেপি প্রত্যাখিত হয়েছে। তাই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হোক এমনটাই দাবি জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির যে অভিযোগ, তা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বিজেপি নেতা চন্দ্রশেখর ব্যানার্জি বলছেন, বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি পরাজিত হলেও দুর্গাপুর পূর্ব এবং পশ্চিম বিধানসভাতে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। এগিয়ে রয়েছে দুর্গাপুর পৌরনিগমের বিভিন্ন ওয়ার্ডে। এমনটাই তিনি দাবী করেছেন। তিনি অভিযোগ করছেন, এই সমস্ত ওয়ার্ডগুলিতে পিছিয়ে পড়ার জ্বালা মেটাতে তৃণমূল এমন কাণ্ড করেছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মনোবল ভেঙে দিতে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা বলে তিনি দাবি করেছেন